রাজশাহী-১ আসনে আ"লীগ সরকারের ট ১৫ বছরের উন্নয়ন ও অগ্রগতির একনজরে
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় :
১১-১২-২০২৩ ০৭:০৭:২৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৩-১২-২০২৩ ০১:৩৯:২৬ পূর্বাহ্ন
দেলোয়ার হোসেন সোহেল : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের আমল ২০০৯ থেকে ২০২৩ টানা ১৫ বছরের উন্নয়ন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় রাজশাহী-১ আসনের পাঁচবার মনোনীত সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী বর্তমান এমপি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন উন্নয়নের সমারোহ তুলে ধরা হলো..
তানোর গোদাগাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-১ আসন
এই আসনে রয়েছে ৪ টি পৌরসভা ও ১৬ ইউনিয়ন ১৮০ টি ওয়ার্ড এবং ৫৫৯ টি গ্রাম মোট জনসংখ্যা :- ৪ লক্ষ ৭০ হাজার ৮ শ ৭৫ জন। ফারুক চৌধুরী তথা আওয়ামী লীগ সরকারের আমল ১৫ বছরে গোদাগাড়ী উপজেলায় ৬ হাজার ৫ শ কোটি টাকা উন্নয়ন হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে.. সামাজিক নিরাপত্তা সহায়তা ভাতা ও গৃহ নির্মাণে প্রকল্পে উন্নয়ন: ৮৮৪ কোটি ৪৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। কাজের বিবরণ:মাতৃত্বকালীন, ল্যাকটেটিং, মা ও শিশু, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ, দলিত, হরিজন,কামার, কুমার, বেদে ও ভিক্ষুক ভাতা প্রাপ্ত উপকারভোগীর সংখ্যা: ২১,১২৯ জন ব্যয়: ৩৫ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা কাজের বিবরণ: বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা, প্রতিবন্ধী ভাতা উপকারভোগীর সংখ্যা:
২,০৩,৪৯৬ জন ব্যয়: ৭৫২ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা কাজের বিবরণ: মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা উপকারভোগীর সংখ্যা: ৪৯৬ জন। ব্যয়: ৫৫ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা। তুলনামূলক মন্তব্য: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে গোদাগাড়ীর মানুষকে প্রাপ্যতা অনুযায়ী শতভাগ ভাতা উপহার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে পর্যাপ্ত ভাতা প্রদান চলমান রয়েছে এবং থাকবে।
২০০৫-এ প্রতিবন্ধী, ২০০৭-এ মাতৃত্বকালীন ভাতা ব্যতিত সকল ভাতা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চালু হয়েছে। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে এ ভাতাগুলো প্রদান করা হয়। ভবিষ্যতে ভাতা সুবিধার জন্য আবেদনকারী নিজেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। কাজের বিবরণ: গৃহহীনদের বাড়ি নির্মাণ সংখ্যা: ৪৪টি বাড়ি (২ রুম) ব্যয়: ৯৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা কাজের বিবরণ: মুজিব বর্ষে ভূমিহীনদের জমিসহ বাড়ি নির্মাণ সংখ্যা: ১৩১৬ টি বাড়ি (২ রুম) ব্যয়: ২৯ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা কাজের বিবরণ: মুক্তিযোদ্ধা নিবাস সংখ্যা: ৫৫ টি নিবাস (ফ্ল্যাট বাড়ি) ব্যয়: ৯ কোটি ৭ লক্ষ টাকা। তুলনামূলক মন্তব্য: দুঃস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ গৃহহীন প্রতিটি নাগরিকের ঠিকানা নিশ্চিত করতে প্রকল্পগুলো চলমান রয়েছে এবং থাকবে। সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলায় সর্বোচ্চ ১৩৬০টি পাকা বাড়ি (টয়লেট, রান্নাঘরসহ) ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে।
এছাড়া ও ১৫ বছরে উন্নয়ন হয়েছে গ্রামীন অর্থনীতি ও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পে: ২৬৩ কোটি ১৩ লক্ষ। শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পে ৬৩৬ কোটি ৫৯ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা। পল্লি রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্পে ৬৩৬ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। কৃষি খাত উন্নয়ন প্রকল্পে ২৭৯৪ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন প্রকল্পে ১৬ কোটি ৯ লক্ষ টাকা। মৎস ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে ১০ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও স্বাস্হ্যসেবা প্রকল্পে ১৬ কোটি ৭৩ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা। ঋণ প্রদান ও প্রণোদনা প্রকল্পে ৯৪ কোটি ১ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। চিকিৎসা সেবা উন্নয়ন প্রকল্পে ৩২ কোটি ৭ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা।
এবং বিদ্যুতায়ন প্রকল্পে কাজের বিবরণ : নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রাহক সংখ্যা। ৯৩, ৫০০ জন ১০০% যা ২০০৬ সালে ছিলো মাএ ৩৪%। বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণ বর্তমানে ৮১০ টি ট্রান্সফর্মারসহ ১৬৮০ কি.মি।যা পূর্বে ছিলো মাএ ১০২ টি ট্রান্সফর্মারসহ ৩১৮ কি.মি। এখন বিদ্যুৎ সক্ষমতা ৩০ এমভিএ, ৭ টি ১১ কেভিএফ ১৩.৮৮% সিস্টেম লস।পূর্বে ছিলো মাএ ৮ এমভিএ, ৪ টি ১১কেভিএফ ২৭.২০% সিস্টেম লস।
এছাড়াও প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্স, ৩ টি ভূমি অফিস ভবন,১টি পুলিশ ফাঁড়ি কমপ্লেক্স,২টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন,১টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও ৪ টি ক্ষুদ্রাকার পানি ব্যবস্থাপনা সেচ প্রকল্পের নির্মাণ করা হয়েছে। তানোর উপজেলায় বর্তমান সরকারের ১৫ বছরের উন্নয়নের বিবরণ :- সামাজিক নিরাপত্তা সহায়তা ভাতা ও গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে উন্নয়ন হয়েছে ৩৪৩ কোটি ৭৭লক্ষ টাকা। কাজের বিবরণ:মাতৃত্বকালীন, ল্যাকটেটিং, মা ও শিশু, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ, দলিত, হরিজন,কামার, কুমার, বেদে ও ভিক্ষুক ভাতা প্রাপ্ত উপকার ভুগীদের সংখ্যা:- ২৪৫০৮ জন।
মাতৃত্বকালীন,ল্যাকট্রেটিং মা ও শিশু সহায়তাসহ অন্যান্য উপকারভুগীর সংখ্যা : ৩৮৮০০ জন। মুক্তিযোদ্ধা সম্মানিত ভাতা :৫৫ জন। গৃহহীনদের বাড়ি নির্মাণ সংখ্যা: ১৯ টি। মুজিব বর্ষে ভূমিহীনদের জমি সহ বাড়ি নির্মাণ সংখ্যা :৬৪২ টি ও মুক্তিযোদ্ধা নিবাস সংখ্যা :৬ টি। এছাড়াও গত ১৫ বছরে তানোরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে যেমন:- গ্রামীণ অর্থনীতি ও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পে ১৭৭ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পে : ৩৯৪ কোটি ৫৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। পল্লী রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্পে : ৬০৭ কোটি ৭ লক্ষ টাকা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন প্রকল্পে : ১৩ কোটি ৯৬ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা। কাজের বিবরণ :উপজেলা মডেল মসজিদ কমপ্লেক্সসহ ২৮ টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার। কৃষি খাত উন্নয়ন প্রকল্পে :২১৫৩ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা। মৎস্য ও পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে : ৭ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা। জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পে :১৩ কোটি ৮৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। ঋণ প্রধান ও প্রণোদনা প্রকল্পে : ৯৬ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। বিদ্যুতায়ন প্রকল্প : নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রাহক সংখ্যা ৫৫ হাজার। বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণ ১০০০ কি.মি।বিদ্যুতের ক্ষমতা বর্তমান ৪০ মেগাওয়াট যা ২০০৬ সালে বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগীর হার ছিল ২৮% যা ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০০%।
চিকিৎসা সেবা প্রকল্পে :৫২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ৫০শয্যা নতুন হাসপাতাল। এছাড়াও তানোর উপজেলায় ২০ টি কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রায় ২৭ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে পাওয়া যায়। ফলে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে। ২০০৬ সালে মাতৃ মৃত্যুর হার ছিল ৩৭০ জন (প্রতি লাখে)। ২০২৩ সালে ৪ গুন কমে তা দাঁড়িয়েছে ২১ জন।
এই এই আসনটির সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে বিপি মেশিন,ডায়াবেটিস মেশিন, নেবুলাইজারসহ কোভিড-১৯ সময় বিভিন্ন উপকরণ ( মাস্ক,পিপি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার) প্রদান করেছেন। তাছাড়াও রাজশাহী ১ আসনের বর্তমান সফল এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থার ব্যক্তি পাশাপাশি তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর কাছে প্রাণপ্রিয় নেতা(মধ্যমণি) হয়ে আছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগ সংগঠনের নৌকা প্রতিক তথা ফারুক চৌধুরীর জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন এই আসনটির দলীয় নেতাকর্মী ও আমজনতা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi
কমেন্ট বক্স